নিজস্ব প্রতিবেদক:
আশকোনা হাজী ক্যাম্পে ২০২৫ সালের হজ মৌসুমে ক্যান্টিন বরাদ্দ নিয়ে নতুন বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। প্রতি বছরের মতো এবারও দরপত্রের শর্ত লঙ্ঘন করে দুটি নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানকে ক্যান্টিন পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। হজ অফিস সাধারণত দরপত্রের মাধ্যমে ক্যান্টিন বরাদ্দ দেয়, যেখানে প্রতিষ্ঠানের অভিজ্ঞতা, খাবারের মান, এবং সেবার মানসহ বিভিন্ন শর্ত বিবেচনা করা হয়। তবে, অতীতেও হাজী ক্যাম্পে ক্যান্টিন বরাদ্দ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে, যা স্বচ্ছতার বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
আব্দুল আউয়াল নামে এক ব্যক্তি হজ অফিসের পরিচালক লোকমান হোসেনের কাছে একটি লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন, ১৯ মনিপুরি পাড়া ক্যাফে সাকসুকা এবং ১৭/১ মনিপুরি পাড়া মেসার্স হানিফ এন্টারপ্রাইজ নামে দুটি প্রতিষ্ঠানকে হজযাত্রীদের মানসম্মত খাবার পরিবেশনের জন্য ক্যান্টিন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়, বরাদ্দপ্রাপ্ত এই দুটি প্রতিষ্ঠানের ঢাকা শহরে কোনো হোটেল বা রেস্টুরেন্ট ব্যবসা নেই, যা দরপত্রের শর্তের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এছাড়া, এই দুটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনার ক্ষেত্রে বাপ-ছেলের সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠেছে, যা দরপত্রের নীতিমালার স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
এই অভিযোগের বিষয়ে রোববার (৪ মে) বিকেলে হজ অফিসের সহকারী হজ অফিসার আব্দুল মালেকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, “কোনো দুর্নীতি বা অনিয়মের মাধ্যমে ক্যান্টিন বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরিচালক লোকমান হোসেন নিম্নদরদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে বরাদ্দ দিয়েছেন।”
লোকমান হোসেনের আরও জানান, নেতৃত্বে কমিটি দরপত্র মূল্যায়ন করে। তবে, বরাদ্দ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে স্বাধীন তদন্তের দাবি উঠেছে। হজ অফিসের সহকারী হজ অফিসার আব্দুল মালেকের বক্তব্যে কমিটির সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ করা হলেও, অভিযোগের বিষয়ে বিস্তারিত তদন্তের কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।
এছাড়াও ৭০ টাকায় ইলিশ মাছ, ৮০ টাকায় গরুর তেহারী বিক্রির মূল্যতালিকাটিকে নিয়েও বর্তমান বাজরের মূল্যের প্রেক্ষাপটে পশ্ন উঠছে।
উল্লেখ্য, ২০২৫ সালে বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৭,১০০ জন হজযাত্রী সৌদি আরব যাবেন, যার মধ্যে ৫,২০০ জন সরকারি ব্যবস্থাপনায় এবং ৮১,৯০০ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায়। হাজী ক্যাম্পে হজযাত্রীদের জন্য সুষ্ঠু সেবা নিশ্চিত করা হজ অফিসের অন্যতম দায়িত্ব।