২০২৫ সালের মধ্যে বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে চালু হবে আরও ১২টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেপজা) অর্থনৈতিক অঞ্চলে ২০২৫ সালের মধ্যে আরও অন্তত ১২টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান বাণিজ্যিকভাবে কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে এ অঞ্চলে ৪১টি প্রতিষ্ঠান শিল্প স্থাপনের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছে, যাদের মোট বিনিয়োগ ৯১৩.১৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এসব প্রকল্পের মাধ্যমে ১ লাখ ৩১ হাজার ৫৭৭ জনের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আবুল কালাম মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান জানান, এ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্মাণ কাজ চলতি বছরের মধ্যেই সম্পন্ন হবে। এর মধ্যে ১৮টি প্রতিষ্ঠানের নির্মাণকাজ চলছে এবং আগামী বছর শুরুর আগেই ১০ থেকে ১২টি কোম্পানি তাদের উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

তিনি জানান, “চীনা বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ এখন চোখে পড়ার মতো। যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক নীতি এবং বাংলাদেশের প্রতিযোগিতামূলক শ্রমবাজার এই আগ্রহে ভূমিকা রেখেছে।”

বেপজার তথ্যমতে, বর্তমানে চুক্তিবদ্ধ ৪১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৪টিই চীনা। শুধু ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত সময়ে ৮টি চীনা কোম্পানি ১৫৩.৮২ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে জমি লিজ নিয়েছে। এসব কোম্পানি তৈরি পোশাক ছাড়াও সৌর যন্ত্রাংশ, ব্যাগ-লাগেজ, হালকা প্রকৌশল পণ্য, প্যাকেজিং উপকরণ এবং সিলিকন ডাই অক্সাইড উৎপাদনের পরিকল্পনা করেছে।

জিয়াউর রহমান বলেন, “আমরা শুধু তৈরি পোশাকে সীমাবদ্ধ থাকছি না, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও প্রযুক্তিনির্ভর পণ্য উৎপাদনের দিকেও জোর দিচ্ছি।”

এছাড়া তিনি বলেন, গত বছরের আগস্টে গণঅভ্যুত্থানের পর দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে এনেছে। বর্তমানে শুধু চীন ও কোরিয়া নয়, ইউরোপসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকেও বিনিয়োগ আসার আশা করছেন তিনি।

বেপজা গত চার দশকে ৯টি ইপিজেড অঞ্চলে ৩৮টি দেশের বিনিয়োগ আকর্ষণ করে দেশের বার্ষিক রপ্তানির প্রায় ১৮-২০ শতাংশ উৎপাদন করছে। মিরসরাইয়ের এনএসইজেডে অবস্থিত বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলটি ১,১৩৮.৫৫ একর জমিতে স্থাপিত, যেখানে ৫৩৯টি শিল্প প্লট রয়েছে।