অনলাইন ডেস্ক:
ইকুয়েডরের গোলযোগপূর্ণ বন্দর নগরী গুয়াকুইলে গত বৃহস্পতিবার মাদক পাচারকারী দুটি দলের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছে। দেশটির পুলিশ প্রধান হার্বি গুয়ামানি এই সংখ্যা নিশ্চিত করেছেন। গুয়াকুইল থেকে এএফপি সংবাদ সংস্থা এই তথ্য জানিয়েছে।
স্থানীয় পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ‘লস টাইগারোনেস’ নামে একটি শক্তিশালী মাদক পাচারকারী দলের সঙ্গে অপর একটি প্রতিদ্বন্দ্বি গ্রুপের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ হয়। ইকুয়েডর, যা বিশ্বে কোকেন উৎপাদনের শীর্ষস্থানীয় দেশ, বর্তমানে ভয়াবহ সহিংসতা ও অপরাধের কবলে পড়েছে। গুয়াকুইল শহরটি বিশেষভাবে আন্তর্জাতিক মাদক পাচারের কেন্দ্র হয়ে উঠেছে।
বিশেষজ্ঞরা জানান, ইকুয়েডরের প্রায় ২০টি অপরাধী দল মাদক পাচার, অপহরণ ও চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত এবং এসব গ্যাং ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে উঠছে। দেশটির সরকার গুয়াকুইলসহ সাতটি প্রদেশে সন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রতিরোধের জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। গুয়াকুইলে বর্তমানে দুই মাস ধরে জরুরি অবস্থা চলছে।
গুয়াকুইলের বন্দরটি দীর্ঘদিন ধরে ইউরোপ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোকেন পাচারের একটি গুরুত্বপূর্ণ রুট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে, যার ফলে আন্তর্জাতিক কার্টেলগুলো দেশটিতে বিস্তার লাভ করেছে। ২০১৮ সালে প্রতি এক লাখ বাসিন্দায় হত্যার ঘটনা ছিল ৬টি, তবে ২০২৩ সালে এই সংখ্যা রেকর্ড ৪৭টি ছাড়িয়ে গেছে।
এমন পরিস্থিতিতে, প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল নোবোয়া চলমান সহিংসতা মোকাবিলায় মিত্র দেশগুলোকে বিশেষ বাহিনী পাঠানোর অনুরোধ করেছেন। এই ঘটনার মধ্যেই ১৩ এপ্রিল ইকুয়েডরে দ্বিতীয় দফা নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে, যেখানে নোবোয়া ও বামপন্থী লুইসা গঞ্জালেজ মুখোমুখি হবেন।