নিজস্ব প্রতিবেদক:
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দেওয়া ৭ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড থেকে খালাসের হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ।
সোমবার (৩ মার্চ) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ রাষ্ট্রপক্ষ ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা তিনটি লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) খারিজ করে দেন।
এর আগে, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের দেওয়া খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেছিল রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদক। ২ মার্চ এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ আদালত জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেন। অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।
পরবর্তীতে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন খালেদা জিয়া। ২০২৪ সালের ২৭ নভেম্বর বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ তার সাজা বাতিল করে তাকে খালাস দেন।
এরপর এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদক, যা আজ (৩ মার্চ) আপিল বিভাগ খারিজ করে দেন।
২০১৮ সালে দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার পর কারাগারে থাকা অবস্থায় চিকিৎসার জন্য কয়েক দফায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে নেওয়া হয় খালেদা জিয়াকে। পরে দেশে করোনা পরিস্থিতি গুরুতর হলে তার পরিবার সরকারের কাছে মুক্তির আবেদন জানায়।
এরপর দণ্ড স্থগিত রেখে তাকে মুক্তি দেয় সরকার। তবে তার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন জানান, “খালেদা জিয়া কোনো অনুকম্পা চান না, তিনি আইনিভাবে মামলা নিষ্পত্তি করতে চান।”
আজকের আপিল বিভাগের রায়ের ফলে, হাইকোর্টের দেওয়া খালাসই চূড়ান্ত রায় হিসেবে বহাল থাকল।