অনলাইন ডেস্ক:
ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার নেইমার জুনিয়র, যিনি দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর জাতীয় দলে ফিরেছিলেন, তিনি আবারও ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়েছেন এবং বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে কলম্বিয়া ও আর্জেন্টিনার বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তার খেলা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
নেইমার, যিনি ১৬ মাস আগে উরুগুয়ের বিপক্ষে হাঁটুতে গুরুতর চোট পেয়ে মাঠের বাইরে চলে গিয়েছিলেন, গত জানুয়ারিতে অস্ত্রোপচার এবং পুনর্বাসন শেষে নিজের শৈশবের ক্লাব সান্তোসে ফিরে আসেন এবং সেখানে দুর্দান্ত পারফর্ম করে জাতীয় দলে ফিরেছিলেন। তবে, পাউলিস্তা চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে করিন্থিয়াসের বিপক্ষে সান্তোসের একাদশে ছিলেন না নেইমার, এবং তার দলও পরাজিত হয়। পরবর্তীতে জানা যায়, নেইমার আবারও উরুর ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়েছেন।
এ বিষয়ে ব্রাজিলের কোচ ডোরিভাল জুনিয়র নিশ্চিত করেছেন, আসন্ন ম্যাচগুলোতে নেইমারের খেলা সম্ভব নয়। নেইমার নিজেও তার ইনজুরি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, “জাতীয় দলে ফিরে আসা ছিল সময়ের ব্যাপার। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত এখনো ব্রাজিলের জার্সি পরে মাঠে নামার সুযোগ পাচ্ছি না। জাতীয় দলে খেলতে আমি কতটা উন্মুখ ছিলাম তা সবাই জানে। তবে এই মুহূর্তে কোনো ধরনের ঝুঁকি নেওয়া সম্ভব নয়। ইনজুরি পুরোপুরি সারিয়ে মাঠে ফেরা এখন আমার প্রধান লক্ষ্য।”
নেইমারের মতো ইনজুরির কারণে দলে বাদ পড়েছেন ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার দানিলো এবং গোলরক্ষক এডারসনও। তাদের পরিবর্তে সান্তোসের সান্দ্রো, লুকাস পেরি এবং তরুণ স্ট্রাইকার এন্দরিককে দলে ডাক দেওয়া হয়েছে। কোচ ডোরিভাল জুনিয়র বলেন, “দল ঘোষণার পর থেকেই মেডিকেল বিভাগ প্রতিনিয়ত আমাদের তথ্য দিয়ে আসছে। নেইমার, দানিলো এবং এডারসনের শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনা করে তাদের পরিবর্তে নতুন খেলোয়াড়দের অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
বর্তমানে কনমেবল বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ১২ ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে ব্রাজিল পঞ্চম স্থানে রয়েছে। আগামী ২০ মার্চ ব্রাসিলিয়ায় কলম্বিয়ার বিপক্ষে এবং ২৫ মার্চ বুয়েন্স আয়ার্সে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে খেলবে তারা। বিশ্বকাপের সরাসরি টিকিট নিশ্চিত করতে এই ম্যাচগুলোতে জয় প্রয়োজন ব্রাজিলের, তবে নেইমারের অনুপস্থিতি সেলেসাওদের জন্য বড় ধাক্কা।
৩৩ বছর বয়সী নেইমার ইনজুরি কাটিয়ে মাত্র দুই সপ্তাহ আগে তার শৈশবের ক্লাব সান্তোসের হয়ে প্রথম গোল করেছিলেন। জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তনের জন্য এটি ছিল তার আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর মূল ভিত্তি, তবে ইনজুরির কারণে তার প্রত্যাবর্তন বিলম্বিত হলো।
নেইমারের অনুপস্থিতিতে ব্রাজিলকে নতুন কৌশল নিয়ে মাঠে নামতে হবে। এন্দরিকের মতো তরুণ প্রতিভাবান স্ট্রাইকারের জন্য এটি নিজেকে প্রমাণের সুবর্ণ সুযোগ। তবে ব্রাজিলিয়ান সমর্থকদের জন্য নেইমারের না থাকা নিঃসন্দেহে দুঃখজনক সংবাদ। এখন প্রশ্ন একটাই—কবে ফিরবেন নেইমার? সময়ই তার উত্তর দেবে।
