অনলাইন ডেস্ক:
ছোটবেলায় বাসায় লাইট বা ফ্যানের সুইচ বন্ধ না করায় বাবা-মায়ের বকাঝকা প্রায় সবারই পরিচিত। তখন হয়তো বিষয়টি বিরক্তিকর লাগত, কিন্তু এখন বড় হয়ে যখন মাসের শেষে বিদ্যুৎ বিল দেখে চোখ কপালে ওঠে, তখন বুঝি—তাঁরা ভুল বলেননি। বিদ্যুতের দাম যত বাড়ছে, মাসিক খরচও তত চাপ ফেলছে আমাদের আয়ে। তবে কিছু সচেতন অভ্যাস গড়ে তুললে আপনি সহজেই বিদ্যুৎ খরচ কমিয়ে সাশ্রয় করতে পারেন উল্লেখযোগ্য পরিমাণ টাকা।
বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের প্রথম ধাপ হতে পারে এলইডি বাল্ব ব্যবহার। যদিও এলইডি সাধারণ বাল্বের তুলনায় দামি, তবু এটি প্রায় ৮০ শতাংশ কম বিদ্যুৎ খরচ করে এবং অনেক দিন টিকে থাকে। একবার বিনিয়োগ করলেই লম্বা সময় শান্তিতে থাকা যায়।
আমাদের অজান্তেই অনেক বিদ্যুৎ নষ্ট হয় ‘ফ্যান্টম পাওয়ার’-এর মাধ্যমে। টিভি, চার্জার, মাইক্রোওয়েভ—এসব ডিভাইস সুইচ বন্ধ করলেও প্লাগ ইন থাকলে বিদ্যুৎ চলে যায়। স্মার্ট পাওয়ার স্ট্রিপ ব্যবহার করে বা সরাসরি প্লাগ খুলে রেখে আপনি এই অপচয় বন্ধ করতে পারেন।
এসি বা হিটার ব্যবহারে আরও বেশি সতর্কতা দরকার। এসির তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে রেখে সিলিং ফ্যান চালালে ঠাণ্ডা বাতাস পুরো ঘরে ছড়িয়ে পড়ে, ফলে এসি কম সময় চালালেই ঘর ঠাণ্ডা হয়ে যায়। শীতকালে হিটারের পরিবর্তে গরম কাপড় ব্যবহার করলেই অনেকটা বিদ্যুৎ সাশ্রয় সম্ভব।
যেকোনো বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি কেনার সময় সেটি এনার্জি এফিশিয়েন্ট কিনা, সেটা ভালোভাবে যাচাই করুন। ইনভার্টার প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি একটু দামি হলেও দীর্ঘমেয়াদে বিল অনেক কমাবে।
অনেক সময় আমরা চার্জার, কেটলি বা গেমিং কনসোল ব্যবহার শেষে প্লাগ খুলতে ভুলে যাই। কিন্তু এসব ডিভাইস স্ট্যান্ডবাই মোডে থেকেও বিদ্যুৎ খরচ করে। তাই এগুলো ব্যবহার শেষে অবশ্যই প্লাগ খুলে রাখুন।
দিনশেষে, আপনি যদি সচেতন হন এবং প্রতিদিনের ছোট ছোট অভ্যাস পরিবর্তন করতে শুরু করেন, তাহলে শুধু বিদ্যুৎ সাশ্রয়ই নয়, আপনার খরচও কমে আসবে, আর পরিবেশও উপকৃত হবে।
