সাবেক মন্ত্রীসহ আওয়ামী লীগের ৫ নেতার রিমান্ড মঞ্জুর

নিজস্ব প্রতিবেদক:

সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন, আনিসুল হক, দীপু মনি এবং সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খানের বিরুদ্ধে আদালত বুধবার (১৯ মার্চ) বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজা রিমান্ডের এই আদেশ দেন।

এদের মধ্যে হাসানুল হক ইনু ছাড়া বাকি সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে তারা বিভিন্ন মন্ত্রিসভায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন। তবে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, ২০১৮ সালের জুলাই মাসে ঘটে যাওয়া অভ্যুত্থান, হত্যা, গুমসহ বিভিন্ন গুরুতর অভিযোগে তাদের নাম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। পুলিশ আগেও একাধিকবার তাদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।

ইনু, মেনন, দীপু মণির চার দিনের রিমান্ড

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় যাত্রাবাড়ীতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ওবায়দুল ইসলাম নিহত হওয়ার ঘটনায় সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এবং সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী দীপু মণিকে চার দিন করে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।

এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, গত বছরের ৪ আগস্ট যাত্রাবাড়ী এলাকায় ১৪ দলের নেতাকর্মীরা অবৈধ অস্ত্র নিয়ে সাধারণ জনতার ওপর নির্বিচারে গুলি চালায়, যার ফলে ওবায়দুল ইসলাম নিহত হন। এ ঘটনায় আরও ৫৮ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়।

আনিসুল হকের তিন দিনের রিমান্ড

অন্যদিকে, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় মোহাম্মদপুরের বসিলা এলাকায় মো. সুজন নামের এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। এই মামলায় তদন্তকারী সংস্থা অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট সাত দিনের রিমান্ড চেয়েছিল, তবে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

সাদেক খানের তিন দিনের রিমান্ড

সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খানকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় মোহাম্মদপুরের বসিলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত মিরাজুল ইসলাম অর্ণবের মামলায় তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

এ সময় সাদেক খান আদালতে জানান, “আমি ওইখানে ছিলাম না। আর গুলি পাব কোথায়?”

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত বছরের ১৯ জুলাই মোহাম্মদপুরের বসিলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মিরাজুল ইসলাম অর্ণব নিহত হন।