রমজানে দ্রব্যমূল্যে আগের তুলনায় স্বস্তি হলেও কিছু পণ্যের দাম বাড়তি

ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

পবিত্র মাহে রমজান আসার সাথে সাথে দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা ছিল। তবে এবার গত বছরের তুলনায় বেশিরভাগ পণ্যের দাম কিছুটা কমেছে। রোজার প্রথম দিকে কিছু পণ্য দাম বাড়লেও এখন কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে এসেছে এবং বাজারের অবস্থা সহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে।

সয়াবিন তেলের বাজারে একসময় সংকট ছিল, তবে বর্তমানে সরবরাহ বেড়েছে। খোলা সয়াবিন পাওয়া যাচ্ছে এবং কোম্পানিগুলো বোতলজাত তেলও সরবরাহ শুরু করেছে, যদিও তা এখনও চাহিদার তুলনায় কম। এক মুদি ব্যবসায়ী জানান, “আগে তেল পাওয়া কঠিন ছিল, তবে এখন পরিস্থিতি কিছুটা পরিবর্তিত হয়েছে।”

সবজি এবং ফলমূলের বাজারেও কিছু পরিবর্তন এসেছে। আগে লেবু, শসা এবং বেগুনের দাম বাড়লেও এখন কিছুটা কমেছে। বেগুনের দাম ৬০-৮০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে, যা আগে ৮০-১০০ টাকা ছিল। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায় এবং শসা ৪০-৫০ টাকা কেজিতে পাওয়া যাচ্ছে। অন্যান্য সবজির দাম আগের মতোই রয়েছে, তবে করলা ও ঢেঁড়সের দাম এখনও বেশি, ৬০-৯০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।

মুরগি এবং ডিমের বাজারে দাম কিছুটা কমেছে। গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগির দাম ২২০ টাকায় উঠেছিল, তবে বর্তমানে তা ২০০ টাকার মধ্যে ফিরে এসেছে। এছাড়া ডিমের দামও কমে ১২০ টাকা/ডজন হয়েছে, যা প্রথম রোজায় ১৩০ টাকার ছিল।

এ বছর পণ্যের দাম অন্যান্য বছরের তুলনায় বেশ কিছুটা সহনীয় এবং বাজারে বড় ধরনের অরাজকতা দেখা যায়নি। তবে চালের দাম এখনও বাড়তি রয়ে গেছে, এবং তা কমেনি। অন্যদিকে, চিনি, খেজুর এবং ডালের দাম বেশ কমে এসেছে, যা ক্রেতাদের জন্য স্বস্তিদায়ক।

পেঁয়াজের দাম ব্যাপকভাবে কমেছে, গত বছর যেখানে পেঁয়াজের দাম ১১০-১৩০ টাকা ছিল, বর্তমানে তা ৩৬-৪৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। একইভাবে, আলুর দামও অর্ধেক কমে ২০-২৫ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।

সামগ্রিকভাবে, এবারের রমজানে পণ্যের দাম অন্য বছরের তুলনায় বেশ সহনীয় এবং বাজারে কোনো অস্থিতিশীলতা দেখা যাচ্ছে না।