অনলাইন ডেস্ক:
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান বর্তমানে ৪৮ লাখ টাকার বকেয়া পারিশ্রমিক নিয়ে বিপাকে আছেন। সাকিব আল হাসানের ব্যাংক একাউন্ট জব্দ হওয়ায় তিনি গত ৪ মাসের (সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর, ডিসেম্বর) বেতন থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। যদিও তিনি বর্তমানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে না থাকলেও, বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তির আওতায় থাকা সত্ত্বেও এই পরিমাণ অর্থ এখনও তিনি পাননি।
বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট) ২০২৪ সালের ১১ নভেম্বর সাকিব আল হাসান এবং তার স্ত্রীর ব্যাংক একাউন্ট জব্দ করার নির্দেশ দেয়। ২ অক্টোবর তারা একটি চিঠি পাঠিয়ে সাকিবের ব্যাংক একাউন্টের তথ্য চেয়েছিল। তদন্ত শেষে সরকারের নির্দেশে সাকিব এবং তার স্ত্রীর সব ব্যাংক একাউন্ট জব্দ করা হয়। এর ফলে সাকিব তার প্রাপ্য বেতন সহজে পেতে পারছেন না।
বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদিন ফাহিম জানিয়েছেন, সাকিবের চুক্তি অনুযায়ী তাকে তার বেতন পরিশোধ করা হবে। ফাহিম বলেন, “খেলুক বা না খেলুক, চুক্তি অনুযায়ী সাকিব তার বেতন পাবেন। আমরা এই প্রতিশ্রুতি পূরণের চেষ্টা করব।” তবে সাকিবের ব্যাংক একাউন্ট জব্দ থাকায় এখন প্রশ্ন উঠছে, কীভাবে তিনি বিসিবি থেকে তার ৪ মাসের বেতন গ্রহণ করবেন।
গত ৫ আগস্টের পর সাকিব আল হাসান আর বাংলাদেশে আসেননি এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকেও দূরে রয়েছেন। ভারতে দুটি টেস্ট খেলার পর সাকিব টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার ঘোষণা দেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঘরের মাঠে বিদায়ী টেস্ট খেলার আগ্রহ থাকলেও তিনি দেশে ফিরে আসেননি। আফগানিস্তান সিরিজ বা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলার সুযোগ থাকলেও তিনি ওয়ানডে দলে ফেরেননি।
বর্তমানে সাকিব আল হাসানের কাছে বিসিবির বকেয়া ৪৮ লাখ টাকা রয়েছে। যদিও তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আর অংশ নিচ্ছেন না, তবে তার চুক্তি অনুযায়ী এটি তার পাওনা।
এদিকে, সাকিবের চুক্তি অনুযায়ী ২০২৪ সালের কেন্দ্রীয় চুক্তির তালিকায় তাকে বাদ দিয়ে বিসিবি নতুন তালিকা সাজাচ্ছে।