ইউক্রেনের সঙ্গে ফের সরাসরি আলোচনা শুরু করার প্রস্তাব দিয়েছে পুতিন

ফাইল ছবি

অনলাইন ডেস্ক:

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের সঙ্গে ফের সরাসরি আলোচনা শুরু করার প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, আগামী ১৫ মে তুরস্কের ইস্তানবুলে শর্তহীন বৈঠক আয়োজন করতে চান। রাশিয়া শান্তির জন্য আন্তরিকভাবে আলোচনা করতে প্রস্তুত বলে মন্তব্য করেছেন পুতিন।

এখন পর্যন্ত ইউক্রেন এবং তার মিত্র দেশগুলো রাশিয়াকে নিঃশর্তভাবে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। তবে, রুশ প্রেসিডেন্ট তাদের এই আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং নতুন নিষেধাজ্ঞার হুমকির মধ্যেও তিনি আলোচনা শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছেন।

পুতিন টেলিভিশনে দেয়া এক বিরল বক্তৃতায় বলেছেন, গত বছরের মার্চে ইস্তানবুলে অনুষ্ঠিত একটি বৈঠক, যা সফল হয়নি, তারই পুনরাবৃত্তি হতে পারে। তিনি জানিয়েছেন, ‘রাশিয়া স্থায়ী ও ফলপ্রসূ শান্তির দিকে এগিয়ে যেতে আন্তরিক আলোচনা করতে চায়।’

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি শান্তি আলোচনা শুরুর জন্য প্রস্তুতি জানিয়েছেন, তবে তিনি শর্ত দিয়েছেন যে, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পরই আলোচনা শুরু হবে। জেলেনস্কি বলেন, শান্তির জন্য সকল প্রস্তাব উন্মুক্ত, তবে যুদ্ধবিরতি কার্যকর না হলে আলোচনা সম্ভব নয়।

পুতিন সম্প্রতি একাধিক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছেন, যেমন: ইস্টার সানডেতে একতরফা অস্ত্রবিরতি এবং ৮ থেকে ১০ মে দুদিনের একতরফা অস্ত্রবিরতি। তবে, ইউক্রেনের অভিযোগ, তারা বারবার রাশিয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে এবং রাশিয়া নিজেই এসব অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘন করেছে।

রাশিয়া যেসব যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব দিয়েছে, তার মধ্যে কিছু শর্ত রয়েছে, যেমন ইউক্রেন যাতে নতুন করে অস্ত্র মজুত বা সামরিক বাহিনী বাড়াতে না পারে। তবে, পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে জানিয়ে দিয়েছে, যদি তারা যুদ্ধবিরতিতে সম্মত না হয়, তাহলে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।

শুক্রবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, তার এবং ইউরোপীয় নেতাদের বৈঠক খুবই গুরুত্বপূর্ণ সংকেত। ইউরোপের চার দেশ একযোগে যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে একটি পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে আসতে চাইছে।

ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, জার্মানি এবং পোল্যান্ডের নেতারা জানিয়েছেন, ১৫ মে থেকে ৩০ দিনের জন্য যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তারা বলেছেন, এই যুদ্ধবিরতির লক্ষ্য হল কূটনৈতিক উদ্যোগের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করা।