চিকিৎসায় নোবেল পেলেন মেরি ব্রাঙ্কো, ফ্রেড র‍্যামসডেল ও শিমন সাকাগুচি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চলতি বছর চিকিৎসাবিজ্ঞান ও শারীরতত্ত্বে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন তিন বিজ্ঞানী— মেরি ই ব্রাঙ্কো, ফ্রেড র‍্যামসডেল ও শিমন সাকাগুচি।

পেরিফেরাল ইমিউন টলারেন্স বা শরীরের নিজস্ব প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অপ্রয়োজনীয় প্রতিক্রিয়া দমন সংক্রান্ত মৌলিক আবিষ্কারের জন্য যৌথভাবে এই তিন গবেষককে নোবেল পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়েছে।

সোমবার (৬ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটে সুইডেনের স্টকহোমে ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউটের নোবেল অ্যাসেমব্লি এই পুরস্কার ঘোষণা করে।

মেরি ই ব্রাঙ্কো যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটেলের ইনস্টিটিউট ফর সিস্টেমস বায়োলজির গবেষক। ফ্রেড র‍্যামসডেল সান ফ্রান্সিসকোভিত্তিক সোনোমা বায়োথেরাপিউটিক্সের সঙ্গে যুক্ত। শিমন সাকাগুচি জাপানের ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা করছেন।

এই আবিষ্কারের মাধ্যমে বোঝা সম্ভব হয়েছে কীভাবে আমাদের শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ব্যবস্থা এমন সব উপাদানের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া থেকে বিরত থাকে, যেগুলো ক্ষতিকারক নয়— যেমন নিজের কোষ, কিছু নির্দোষ খাদ্য উপাদান বা অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়া। এই গবেষণা অটোইমিউন ডিজঅর্ডার, অ্যালার্জি এবং ক্যানসারের চিকিৎসায় ভবিষ্যতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

নোবেল বিজয়ীরা পাবেন একটি স্বর্ণপদক, একটি আনুষ্ঠানিক সনদ এবং মোট ১ কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনা পুরস্কার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৪ কোটি ৬১ লাখ টাকা)। একাধিক বিজয়ী থাকলে পুরস্কার মূল্য তাদের মধ্যে ভাগ হয়ে থাকে।

প্রসঙ্গত, চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার দিয়ে থাকে সুইডেনের ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট, আর পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়নে বিজয়ীদের নির্বাচন করে রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্স।