অনলাইন ডেস্ক:
ফেসবুকে ‘তৌহিদী জনতা’ শব্দ ব্যবহার করার পর দুঃখপ্রকাশ করেছেন অন্তর্র্বতী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। গতকাল বুধবার ভোরে ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এই দুঃখপ্রকাশ করেন এবং তার বক্তব্যের জন্য যারা আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন, তাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
স্ট্যাটাসে মাহফুজ আলম লেখেন, “আমার কিছু বক্তব্য হয়তো কারও কারও মনে কষ্ট দিয়েছে, বিশেষ করে ‘তৌহিদী জনতা’ বলাটা। যারা আমার বক্তব্যের কারণে নারাজ বা নাখোশ হয়েছেন, আমি আন্তরিকভাবে দুঃখপ্রকাশ করছি।” তিনি আরও জানান, গত কয়েক মাসে কোনো বক্তব্যে বিভাজনমূলক ভাবনা বা আঘাত প্রাপ্ত হলে তিনি সেগুলো পুনর্বিবেচনার পক্ষেও।
এছাড়া, মাহফুজ আলম তাঁর বক্তব্যে আরও উল্লেখ করেন, “আমাদের মধ্যবর্তী অবস্থান ধরে রাখতে হবে এবং সবাইকে নিয়ে এগোতে হবে, তবে ‘স্যাবোটিয়ার’দের বাদ দিয়ে। পেছন থেকে ছুরি মারা, অনার কোড না মানার অভ্যাস-এসব যে কোনো বন্দোবস্তের জন্য হুমকিস্বরূপ।”
তিনি জানান, “এ অভ্যুত্থান সবার। সেজন্যই মাস্টারমাইন্ড নামক মিডিয়ার তৈরি হাইপকে আমি শুরুতেই প্রত্যাখ্যান করেছি। আমরা সিদ্ধান্ত যারা নিতাম, তারা প্রায় সব সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে অনেক স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কথা বলেছি।”
এদিকে, মাহফুজ আরও বলেন, “রাজনীতি মানে এবহঃষবসবহ’ং অমৎববসবহঃ থাকবে না এটা যারা ভাবেন, তারা নিজেদের শুধরে নিন। আমাদের শত্রু অগণিত এবং তারা সবাই শক্তিধর। মিত্র খুবই কম। যদি আমরা মিত্রতা বাড়াতে পারি, তা আখেরে দেশের জনগণকেই উপকৃত করবে।”
উপদেষ্টা মাহফুজ আলম তাঁর বক্তব্যে আরও জানান, “ফ্যাসিবাদবিরোধী ও বাংলাদেশপন্থি জনগণের মধ্যে রাজনৈতিকভাবে ইতিবাচক প্রতিযোগিতা করতে হবে। কোনোভাবেই ফ্যাসিবাদী শক্তিকে রাজনীতিতে স্পেইস দেওয়া যাবে না। গণ-অভ্যুত্থানের শক্তির ঐক্যই আমাদের গন্তব্য।”