নিজস্ব প্রতিবেদক:
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ২৩৭টি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বিএনপি। তবে জোটভুক্ত ও আন্দোলন-সঙ্গী দলগুলোর নেতাদের জন্য ৬৩টি আসন ফাঁকা রাখা হয়েছে।
সোমবার (৪ নভেম্বর) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ তালিকা প্রকাশ করেন। তিনি জানান, “আমাদের সঙ্গে যারা যুগপৎ আন্দোলনে ছিলেন, তারা যেসব আসনে প্রার্থী দিতে চান সেখানে আমরা কাউকে মনোনয়ন দেইনি। পরে সমন্বয় করা হবে।”
দলের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, এলডিপি, গণতন্ত্র মঞ্চ, গণঅধিকার পরিষদ, গণফোরাম, ১২ দলীয় জোট, সমমনা জোট ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি—এসব রাজনৈতিক দলের কয়েকজন নেতার জন্যই এসব আসন খালি রাখা হয়েছে।
ফাঁকা রাখা আসনগুলোর মধ্যে রয়েছে—চট্টগ্রাম-১৪, বগুড়া-২, পটুয়াখালী-৩, ঝিনাইদহ-২, লক্ষ্মীপুর-১ ও ৪, ঢাকা-১৩ ও ১৭, ঝালকাঠি-১ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬।
এ আসনগুলোতে বিএনপির সমর্থন পেতে পারেন—এলডিপি সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদের ছেলে অধ্যাপক ওমর ফারুক, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র সাহাদাত হোসেন সেলিম, জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রবের স্ত্রী তানিয়া রব, বিজেপির আন্দালিব রহমান পার্থ, ববি হাজ্জাজ, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান এবং গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।
বিএনপির সূত্রে জানা গেছে, জোটভিত্তিক আসন বণ্টনের পর অবশিষ্ট আসনগুলোতে ত্যাগী নেতাদের মনোনয়ন দেওয়া হবে। আর যেসব আসনে একাধিক শক্তিশালী প্রার্থী রয়েছেন, সেখানে যাচাই-বাছাই শেষে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
