অনলাইন ডেস্ক:
সেন্টমার্টিন দ্বীপ আজ শনিবার থেকে পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্বীপে ভ্রমণ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহিদুল আলম বলেন, “প্রাকৃতিক ভারসাম্য ও সৌন্দর্য রক্ষায় সরকারের নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এবার পর্যটকবাহী জাহাজ কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া বিআইডব্লিউটিএ ঘাট থেকে চলবে।”
সরকারি প্রজ্ঞাপনের আওতায় পর্যটকদের মানতে হবে ১২টি নির্দেশনা, যার মধ্যে রয়েছে: নভেম্বর মাসে কেবল দিনের বেলা ভ্রমণ, ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে রাত যাপন, ফেব্রুয়ারিতে সম্পূর্ণভাবে পর্যটক প্রবেশ বন্ধ, দৈনিক সর্বোচ্চ ২,০০০ পর্যটক প্রবেশ, সৈকতে আলো, শব্দ বা বারবিকিউ নিষিদ্ধ, এবং পরিবেশের ক্ষতি সম্পর্কিত অন্যান্য বিধিনিষেধ।
বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের উপ-পরিচালক মহিবুল ইসলাম জানান, পর্যটকরা অবশ্যই বোর্ডের স্বীকৃত ওয়েব পোর্টালে অনলাইনে টিকিট সংগ্রহ করবেন। প্রতিটি টিকিটে ট্রাভেল পাস ও কিউআর কোড থাকবে, যা না থাকলে টিকিট নকল হিসেবে গণ্য হবে।
পরিবেশ অধিদপ্তর বলেছে, পর্যটক চলাচল বন্ধ থাকায় সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য পুনরুদ্ধার হয়েছে। সৈকতে শামুক-ঝিনুক বৃদ্ধি, লাল কাঁকড়ার দৌড়ঝাঁপ এবং মা কাছিমের ডিম পাড়ার পরিবেশ ফিরে এসেছে। পরিবেশকর্মী অ্যাডভোকেট মুজিবুল হক সীমিত পর্যটনকে সেন্টমার্টিন বাঁচানোর একটি সময়োপযোগী উদ্যোগ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
সেন্টমার্টিনে প্রায় ১,৭৬ প্রজাতির প্রাণী ও সামুদ্রিক জীবনের নিবাস রয়েছে, যা অতিরিক্ত চাপের কারণে আগে ঝুঁকির মুখে ছিল।











