অনলাইন ডেস্ক:
২০২০ সালের ১৪ জুন, ভারতের বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত এর মৃতদেহ বান্দ্রার ফ্ল্যাটে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। তখন থেকেই তার মৃত্যু নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক এবং সারা দেশজুড়ে উঠতে থাকে নানা প্রশ্ন—সুশান্ত আত্মহত্যা করেছেন নাকি তাকে খুন করা হয়েছে? তার পরিবার এবং অগণিত ভক্তরা সিবিআই তদন্তের দাবি তোলেন। প্রায় সাড়ে চার বছরের তদন্তের পর, সিবিআই তাদের চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছে এবং এতে সুশান্তের মৃত্যু আত্মহত্যা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
সিবিআই তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে যে, সুশান্তকে খুন করা হয়নি। সিবিআই এবং অল ইন্ডিয়া ইন্সটিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সের ফরেনসিক টিম জানিয়েছে, সুশান্তের মৃত্যু ছিল আত্মঘাতী। তদন্তে এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি যা থেকে ধারণা করা যায় যে, তাকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করা হয়েছিল।
সুশান্তের প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তী প্রথম থেকেই সংবাদ শিরোনামে ছিলেন, এবং তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠেছিল—যেমন মাদক সরবরাহ, মানসিক নির্যাতন, টাকার জন্য চাপ দেওয়া এবং কালোজাদুর ব্যবহার। সুশান্তের পরিবার রিয়াকে তার ছেলের আত্মহত্যার জন্য দায়ী করে অভিযোগ এনেছিল। তবে সিবিআইয়ের চূড়ান্ত রিপোর্টের পরে, রিয়া চক্রবর্তী এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ খারিজ হয়ে গেছে।
এছাড়া, সুশান্তের ল্যাপটপ, হার্ড ডিস্ক, ক্যামেরা এবং মোবাইল ফোন থেকেও গুরুত্বপূর্ণ কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। ফলে, খুনের অভিযোগ থেকে রিয়া এবং তার পরিবারের নাম বাদ দিতে বলা হয়েছে। সিবিআইয়ের রিপোর্টের পর, রিয়া চক্রবর্তী এই বিষয়ে মন্তব্য করেছেন। তিনি জানান, “মামলার প্রতিটি দিকই সিবিআই তদন্ত করেছে। আমাকে নিয়ে যে মিথ্যা প্রচার চালানো হয়েছিল, তা মানসিকভাবে অত্যন্ত কষ্টকর ছিল। আমি বিনা দোষে ২৭ দিন জেলে ছিলাম। আমাকে প্রতিনিয়ত হেনস্থা করা হয়েছিল।”
এখন, ৮ এপ্রিল বান্দ্রা ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে মামলার পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। যদি সিবিআইয়ের রিপোর্ট গ্রহণ করা হয়, তবে সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর খুনের অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে খারিজ হয়ে যাবে।