নিজস্ব প্রতিবেদক:
আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সব সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা, আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে দলগত বিচার এবং জুলাই ঘোষণাপত্র জারির তিন দফা দাবিতে ৩৭ ঘণ্টা ধরে চলছে ছাত্র-জনতার আন্দোলন ও অবস্থান কর্মসূচি।
জানা গেছে, কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাতেও অনেকে অবস্থান করেন শাহবাগে। সকালে নতুন করে আসতে শুরু করেছেন অন্যরা। এ সময় জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদেরও উপস্থিত হতে দেখা গেছে।
এছাড়া, শনিবার (১০ মে) বিকেল ৩টায় শাহবাগসহ সারা দেশে জুলাই অভ্যুত্থানের বিভিন্ন পয়েন্টে সমাবেশ করার ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে ছাত্র-জনতা সকাল থেকেই শাহবাগে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিচ্ছেন। শাহবাগ মোড়ের চারদিকের সড়কের মুখে ব্যারিকেড দিয়ে মধ্যবর্তী স্থানে বসে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন আন্দোলনকারীরা।
এদিকে কর্মসূচির দিকনির্দেশনা দিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ আজ ভোর চারটার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দেন। তিনি লেখেন, ‘ঢাকার শাহবাগ ছাড়া ঢাকা বা সারাদেশের হাইওয়েগুলোতে ব্লকেড দিবেন না। জেলাগুলোতে স্বতঃস্ফূর্ত জমায়েত করুন, সমাবেশ করুন। কিন্তু ব্লকেড না। ব্লকেড খুলে দিন।’
এর আগে, শুক্রবার বিকাল পৌনে ৫টায় আন্দোলন শুরু হয়। এর আগে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ের পাশের মঞ্চ থেকে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। তিনি শাহবাগ মোড় অবরোধের ঘোষণা দেওয়ার পর আন্দোলনকারীরা মিছিল নিয়ে বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে শাহবাগে এসে অবরোধ শুরু করেন। সারা রাত সেখানে অবস্থান করেন তারা।
