অনলাইন ডেস্ক:
বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনের সময় কুষ্টিয়ায় ছয়জনকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে অভিযোগ (ফর্মাল চার্জ) গঠনের ওপর শুনানির জন্য ১৪ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। গতকাল সোমবার ট্রাইব্যুনাল- ২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারিক প্যানেল এই আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারক মো. মঞ্জুরুল বাছিদ ও বিচারক নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার। ট্রাইব্যুনালে গতকাল সোমবার প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম। ইনুর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী নাজনীন নাহার। ইনুর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগের ওপর শুনানির জন্য এক সপ্তাহ সময় চান প্রসিকিউশন। তবে আসামির পক্ষে আরও দুদিন বাড়িয়ে সময়ের আবেদন করেন নাজনীন নাহার। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আগামী ১৪ অক্টোবর দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল। এর আগে, এ মামলায় ইনুকে গতকাল সোমবার ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
২৫ সেপ্টেম্বর এ আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-২। একই দিন সকালে ইনুর বিরুদ্ধে জুলাই-আগস্টে গণহত্যায় সহযোগিতাসহ সুনির্দিষ্ট আটটি অভিযোগ এনে ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। এরপর শুনানিতে আটটি অভিযোগ উপস্থাপন করেন প্রসিকিউশন। শুনানি শেষে অভিযোগ আমলে নিয়ে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারি করেন আদালত। এর আগে, গত ২৫ সেপ্টেম্বর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কুষ্টিয়ায় হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ইনুর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে, গতকাল সোমবার ২৯ সেপ্টেম্বর এই মামলায় তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়। একইসঙ্গে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানির জন্য এই দিন ঠিক করেন আদালত। গতকাল সোমবারও তাকে (হাসানুল হক ইনু) ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে। আসামি হাসানুল হক ইনু আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে টিভি চ্যানেলে বক্তব্য দেন এবং আন্দোলনকারীদের বিএনপি, জামায়াত, সন্ত্রাসী, জঙ্গি ইত্যাদি সাম্প্রদায়িক ট্যাগ দিয়ে উসকানি দেওয়াসহ বিভিন্ন অপরাধে সায় দেন। সরকার কর্তৃক কারফিউ জারিপূর্বক প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করে হত্যাসহ নির্যাতনকে কৌশলে সমর্থন দেন। আন্দোলন দমনে গুলি, বোম্বিং ও হত্যাসহ হাসিনার গৃহীত পদক্ষেপ অনুমোদন করেন। এসব পরিকল্পনা কার্যকর করতে হাসিনার সঙ্গে টেলিফোনে ষড়যন্ত্র, সহায়তা ও সম্পৃক্ত থাকাসহ আটটি অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।











