চাঁদপুরে সবজির দাম অস্বাভাবিক, মাছের বাজারেও আগুন

জেলা প্রতিনিধি :

ঈদের পর থেকেই চাঁদপুরে হঠাৎ করেই বাড়তে শুরু করেছে পেঁয়াজসহ প্রায় সব ধরনের শাকসবজির দাম। বাজারে সরবরাহে তেমন ঘাটতি না থাকলেও কেজিপ্রতি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। একইসঙ্গে অন্যান্য সবজির দামও বেড়েছে ১০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত।

শহরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বর্তমানে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকায়, যা ২০ দিন আগেও ছিল ৩০-৩৫ টাকা। কাকরোল ১১০ টাকা, পটল, চিচিঙ্গা, লম্বা সিম প্রতিটি ৭০ টাকা, গাজর ৪০-৪৫ টাকা, কাঁচা মরিচ ১০০ টাকা, ধনে পাতা ১২৫ টাকা এবং রসুন বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩০ টাকা কেজি দরে।

শুধু সবজি নয়, শাকের দামেও আগুন। লাল শাক ও সবুজ শাক ৪০ টাকা কেজি, কচুর লতি ৭০ টাকা, ছড়া কচু ৭০ টাকা এবং শসা ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একমাত্র গোল আলু এখনও ২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

সবজির এমন ঊর্ধ্বগতির কারণ জানতে চাইলে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা দায় এড়িয়ে যান। তাদের বক্তব্য, সরবরাহে তেমন সমস্যা নেই, কিন্তু দাম বাড়ছে। সামনে আরও বাড়বে বলেও তারা আশঙ্কা করছেন।

চাঁদপুর কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, এবার জেলার ৭৫০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষ হয়েছে এবং পুরো জমির ফসলও ঘরে তোলা হয়েছে। এতে মোট ৮,৮১১ টন পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে। পাশাপাশি রসুন চাষ হয়েছে ৩৬০ হেক্টরে, যেখানে উৎপাদন হয়েছে প্রায় ২,৯৬২ টন।

তবে শুধু সবজি নয়, মাছের বাজারেও ভোক্তাদের পকেটে চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে ইলিশ মাছ সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। বিপনীবাগ মাছ বাজারে এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৩৩০০ টাকায়। মাঝারি সাইজের ইলিশের দাম ১৩০০-২০০০ টাকা পর্যন্ত। চিংড়ি, শিং, মাগুরের দামও ৭৫০-১০০০ টাকার মধ্যে।

মৎস্য ব্যবসায়ীরা বলছেন, নিষেধাজ্ঞা শেষে এখনও ইলিশের সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি। সাগরে এখনও ইলিশ ধরা পড়ছে কম, ফলে বড় মাছ মোকামগুলোতে আমদানি কম। সিজন পুরোপুরি শুরু না হওয়া পর্যন্ত এই পরিস্থিতি চলতে পারে বলে তারা জানান।

চাঁদপুরের সাধারণ মানুষের অভিযোগ, বাজারে মনিটরিং না থাকায় সিন্ডিকেট করে মূল্য বাড়ানো হচ্ছে, যার চাপ পড়ছে সীমিত আয়ের মানুষের ওপর।