অনলাইন ডেস্ক:
দক্ষিণ কোরিয়ার বিমান বাহিনী জানিয়েছে, তাদের একটি যুদ্ধবিমান প্রশিক্ষণ মহড়ার সময় ভুলবশত আটটি বোমা নির্দিষ্ট ফায়ারিং রেঞ্জের বাইরে ফেলেছে, যার ফলে এক বেসামরিক নাগরিক আহত হয়েছেন। এই ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ার পোচিওন শহরে, যা সিউল থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত।
দক্ষিণ কোরিয়ার বিমান বাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, এটি একটি অনিচ্ছাকৃত দুর্ঘটনা। বিমান বাহিনীর কেএফ-১৬ যুদ্ধবিমানটি লাইভ-ফায়ার মহড়ায় অংশগ্রহণ করছিল, যখন আটটি এমকে-৮২ সাধারণ বোমা অস্বাভাবিকভাবে নির্ধারিত স্থান থেকে বাইরে চলে যায়। এই ঘটনায় স্থানীয় সময় সকাল ১০টার দিকে (গ্রিনিচ মান সময় ০১০০ টায়) বোমাগুলো একটি গ্রামে পড়ে।
এদিকে, দক্ষিণ কোরিয়া-মার্কিন যৌথ লাইভ-ফায়ার মহড়ার সময় এই ঘটনা ঘটেছে। ইয়োনহাপ সংবাদ সংস্থা জানায়, মহড়ার সময় বোমাগুলো পড়ার ফলে বেশ কিছু বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং কিছু বাসিন্দা আহত হয়েছেন। এতে প্রায় ৪ হাজার বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, এই ঘটনায় চারজন গুরুতর আহত হয়েছেন এবং তিনজন সামান্য আহত হয়েছেন। এছাড়া, একটি গির্জা ভবন এবং দুটি বাড়ির অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এক স্থানীয় বাসিন্দা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার সময় তিনি টেলিভিশন দেখছিলেন এবং বিস্ফোরণের তীব্রতা অনুভব করেন। একটি প্রবীণ আশ্রয় কেন্দ্র থেকেও বিস্ফোরণের ফলে জানালাগুলো ভেঙে যায় এবং একজন শিক্ষক আহত হন। তবে, প্রবীণদের কেউ আহত হননি।
দক্ষিণ কোরিয়ার বিমান বাহিনী জানিয়েছে, দুর্ঘটনার পর দ্রুত উদ্ধার তৎপরতা শুরু করা হয়েছে এবং একটি দুর্ঘটনা প্রতিক্রিয়া কমিটি গঠন করা হয়েছে। একই সঙ্গে, ক্ষতিপূরণসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ কোরিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ সামরিক মহড়া ‘ফ্রিডম শিল্ড’ চলতি মাসের শেষের দিকে শুরু হতে যাচ্ছে, যা এ বছরের অন্যতম বৃহত্তম যৌথ মহড়া।