ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে রাজস্ব আয় বেড়েছে ৩০ শতাংশ

জেলা প্রতিনিধি :

চলতি অর্থবছরে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি কমলেও রাজস্ব আয় বেড়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ। গত অর্থবছরের প্রথম আট মাসের তুলনায় চলতি অর্থবছরের একই সময়ে বন্দরে পণ্য আমদানিতে সরকারের রাজস্ব আয় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৬২ কোটি টাকা বেশি হয়েছে।

বন্দর সংশ্লিষ্ট ও ব্যবসায়ী নেতারা জানান, আমদানিকৃত পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে রাজস্ব আয় বেড়েছে। ভোমরা শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব শাখা থেকে জানা গেছে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ভোমরা স্থলবন্দরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ৯৪৬ কোটি ২৩ লাখ টাকা নির্ধারণ করেছে। এর মধ্যে গত আট মাসে (জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি) রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫৮৯ কোটি ৪২ লাখ টাকা। কিন্তু বন্দরে ওই লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রাজস্ব আয় হয়েছে ৭৫১ কোটি ৬৬ লাখ টাকা, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৬২ কোটি ২৪ লাখ টাকা বেশি।

গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮৫৩ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। যার প্রথম আট মাসের রাজস্ব আদায় লক্ষ্য ছিল ৪৯৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। অথচ ওই লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ৫০৮ কোটি ৪ লাখ টাকা। এর ফলে চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আয় বেড়েছে ২৪৩ কোটি ২৬ লাখ টাকা।

ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবু হাসান জানান, ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি কম হলেও সরকারের রাজস্ব বেড়েছে। তবে তিনি বলেন, “যদি বন্দর ব্যবহারকারী ব্যবসায়ীরা সব ধরনের পণ্য আমদানি করতে পারতেন, তাহলে রাজস্ব আয় আরও কয়েকগুণ বেশি হতো।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, “এখানকার ব্যবসায়ীরা সব প্রকার পণ্য আমদানি করতে পারেন না এবং ভোমরা বন্দর অনেক বৈষম্যের শিকার।”

ভোমরা শুল্ক স্টেশনের দায়িত্বে থাকা কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার আবুল কালাম আজাদ জানান, “গত আট মাসে রাজস্ব আয় লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ১৬২ কোটি ৪২ লাখ টাকা বেশি হয়েছে। এ ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি এবং বন্দর ব্যবহারকারীদের সর্বোচ্চ সেবা প্রদান করতে আমরা সচেষ্ট।”