অনলাইন ডেস্ক:
পাশাপাশি মায়ের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন এবং পারিবারিক সহিংসতা নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী। সম্প্রতি এক পডকাস্টে অভিনেত্রী জানান, তার বাবা, খ্যাতিমান পরিচালক উৎপলেন্দু চক্রবর্তী, তার শৈশবকালীন সময়ে তাকে এবং তার মা শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন।
ঋতাভরী বলেন, “যখন আমার বয়স ৩-৪ ছিল, তখন আমার বায়োলজিক্যাল বাবা মায়ের ওপর শারীরিক নির্যাতন চালাতেন। মায়ের ভাষায়, এমন ছোট বয়সে কোনো শিশুর গায়ে হাত তোলার কোনো কারণ নেই। কিন্তু তিনি যখন বিরত থাকতে পারলেন না, তখন আমার মা আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।” তিনি আরও বলেন, “আমার দাদু-দিদা মাকে অনেক সমর্থন দিয়েছিলেন।”
অভিনেত্রী জানান, তার মা বারবার বাবা উৎপলেন্দুর কাছে ক্ষমা চেয়ে ফিরে আসতেন, কিন্তু সম্পর্ক কখনোই ঠিক হয়নি। “তিনি ক্রনিক অ্যালকোহলিক ছিলেন, আর মদ্যপান আমার কাছে একটি বড় সমস্যা,” বলেও মন্তব্য করেন ঋতাভরী। “এ কারণে আমি এখন মদ্যপান সহ্য করতে পারি না, এমনকি তার গন্ধ পেলেও অস্বস্তি অনুভব করি।”
ঋতাভরী জানান, তিনি তার বাবা উৎপলেন্দুকে কখনোই কাছে থেকে দেখেননি, কেবল তার মা এবং দিদির কাছ থেকে শুনেছেন তার সম্পর্কে নানা গল্প। তিনি বলেন, “চার বছর বয়সে কিছু স্মৃতি আছে, তবে এখন আর অতীতের অশ্লীল কথা বলতে চাই না, কারণ তিনি অসুস্থ।”
এদিকে, পডকাস্টের ভিডিওতে এক নেটিজেন ঋতাভরীর মা সম্পর্কে একটি মন্তব্য করেন, “তোমার মা দ্বিতীয় বউ ছিলেন,” যা দেখে ঋতাভরী কড়া জবাব দেন। তিনি লেখেন, “সেটা কি ওকে অধিকার দিয়েছিল আমাদের ওপর অত্যাচার করার? এই যুক্তিগুলো কোনোদিন বুঝব না।”
প্রসঙ্গত, ঋতাভরীর বাবা, উৎপলেন্দু চক্রবর্তী, ছিলেন একজন খ্যাতিমান পরিচালক এবং জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত। তিনি ১৯৪৮ সালে পাবনা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং গত বছর ২০ আগস্ট মৃত্যুবরণ করেন।